A few months into our marriage, my wife and I decided we wanted to welcome the symbol of our love into this world — our child. Immediately after our wedding, I got a new job, which meant I hardly had enough time for my wife during the day. She felt lonely all the day, and honestly, deep down, I too longed for a new little life to fill our life & home.
So we made up our minds. As Allah, the Most Merciful, says — a servant has three duties: make a good intention, pray sincerely, and try their best. In return, it is Allah’s promise to accept that intention, that prayer, and that effort in His perfect timing.
But perhaps our Creator had a different plan for us. Maybe He wanted to test our patience or make sure we were truly ready to become parents. Whatever His reason was, He made us wait — for about 10 or 11 months, there was no good news.
During those months, every cycle felt like a test. We waited every month like thirsty birds waiting for rain, hoping for one good sign. But each time, our hopes broke a little. Still, we’d comfort each other, saying, “Look at so many couples who have waited years. If they can hold on to hope, why can’t we?” We’d see friends, colleagues, relatives, even neighbors who hadn’t been blessed with children yet. Instead of comforting us, these examples would sometimes break our hearts even more. The pain doubled — for them and for ourselves. We never wanted to become an example of a childless couple ourselves.
There were days when tears came easily. Though I’ve never been the most practicing Muslim, I knew the power of sincere dua, giving sadaqah, and seeking forgiveness. Again and again, I asked Allah to forgive all my past sins and my wife’s too, begging Him to bless us with a child. Whenever I could, I gave a little charity, not just for us but for every couple still waiting for their own miracle.
Days passed. One day at work, I was sitting quietly, my heart heavy. A colleague of mine — a practicing Muslimah — noticed me. I had never seen her face as she observes proper hijab and niqab. She came over and asked, “Mamun bhai, is something bothering you?” I just nodded. She said gently, “You can tell me if you want. Think of me as an elder sister.”
I have this habit — when something weighs on my heart, I feel lighter if I can share it with a trustworthy person. So I poured my heart out to her. After listening, she surprised me by saying, “Brother, I understand this pain all too well. It’s been three years since my wedding, and I still haven’t had a child either.”
While trying to comfort me, she almost broke down herself. But then she taught me a beautiful prayers — the same dua by which Prophet Zakariya (AS) made when he asked Allah for a child at an old age:
رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء
“My Lord, grant me from Yourself a pure offspring. Indeed, You are the Hearer of supplication.”
Knowing the story behind this dua filled me with new hope. I started reciting it constantly — in ruku, in sujood, in my final tashahhud, any moment I could. I taught it to my wife too. We made it a habit to ask for this blessing together, every day.
Alongside our prayers, we also did what we could practically — we started seeing a specialist. This was back in May 2022, exactly one year before I’m writing this now. To this day, I remember those days filled with silent tears and hidden hope.
Finally, our Lord answered our prayers. On June 23rd, 2022, my wife said to me one night, “I have this strong feeling I might be pregnant this time!” A little later she added, “Go, get a pregnancy test kit, please.”
Honestly, after being disappointed 3–4 times before, I didn’t want to get my hopes up. But seeing her so confident, I couldn’t say no. So I went out to buy the test. Deep down, I made a plan — tonight we would wake up for tahajjud, pour our hearts out to Allah, and test right before Fajr.
So that’s what we did together. We prayed tahajjud, cried and asked Allah not to send us away empty-handed this time.
The whole night passed in nervousness. Just before Fajr, my wife did the test. One line appeared in the strip — my hand was trembling as I held the strip, my eyes were blurred with tears, my heart pumping so loud I could easily hear her breath beside me. It felt like a lifetime.
Then, finally — that second line. Clear as day. I don’t think I can describe what I felt in that moment. All the happiness in the world seemed to come to us in that tiny red line. Tears were rolling down my cheeks. I hugged my wife tight and then fell to the floor in sajdah, thanking my Rabb.
Allah has tested me so many times before — sometimes I passed, sometimes I didn’t, but He always replaced my loss with something better. This test, though, was different. Those ten months were filled with fear and heartbreak, but in the end, our prayers — and the prayers of our elders — were answered. My wife was finally pregnant, Alhamdulillah!
And I truly believe Allah was so pleased with our tears and our heartfelt duas that He blessed us with a daughter as our first child. Alhamdulillah! There are no words that can describe what it feels like to hold your answered prayer by your arms.
On the night of February 17th, 2022, our little Moonlit, our Minnat, came into this world with uncountable joy & happiness.
Before I end, I must thank that colleague — the sister who prayed for us even though she herself was struggling with the same pain. By Allah’s grace, she too was later blessed with a son. Alhamdulillah for that too.
So, to anyone reading this: never lose hope in Allah’s mercy. Where we see an ending, He has the power to create a new beginning. It’s true not just for children, but for every hope and every heartbreak in life. Dua can change destiny in ways that nothing else can.
May Allah bless every couple wishing for a child with the joy of parenthood. May no lap stay empty.
With this prayer, I end my story.
Dated: May 28th, 2023
বিয়ের কয়েক মাস পরই আমি ও আমার স্ত্রী সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের দু'জনের ভালবাসার প্রতীক; আমাদের সন্তানকে এই পৃথিবীর আলো দেখানোর। কারণ, বিয়ের পর পরই আমার চাকুরি হয়ে যাওয়াতে সারাদিন খুব বেশী একটা সময় স্ত্রীকে দেয়া হয়ে উঠতনা। একঘেয়েমি যেমন ওঁকে ঘিরে ধরেছিল, ঠিক তেমনিভাবে আমারও খুব ইচ্ছে করছিল একজন নতুন মানুষ আসুক না; মন্দ কি তাতে?
.
যে ভাবা সে কাজ। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন বান্দার কাজ হচ্ছে ৩ টি- যেকোনো ভাল কাজের নিয়্যাত করা, দোয়া করা এবং চেষ্টা করা বিপরীতে আল্লাহর কাজ হচ্ছে বান্দার নিয়্যাত, দোয়া ও চেষ্টাকে কবুল করে ভাল একটা ফলাফল দেয়া।
.
কিন্তু মহান আল্লাহর হয়তবা ভিন্ন কোনো পরিকল্পনা ছিল। আমাদের দুইজনকে বাবা-মা হিসেবে ভালভাবে প্রস্তুত করার জন্য কিংবা আমাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেয়ার জন্যই হয়তবা আমাদেরকে দীর্ঘ ১০-১১ মাস পর্যন্ত কোনো সুখবর প্রদান করেননি।
.
এই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে প্রতি মাসেই আমি আর আমার স্ত্রী চাতক পাখির মত অপেক্ষা করতাম ভাল একটা সুসংবাদের জন্য। কিন্তু নিরাশ হতে হত প্রতিবারই। ক্ষণিকের সেই নিরাশা কাটিয়ে চারদিকে তাকাতাম আর একে অন্যকে এই বলে শান্তনা দিতাম যে মানুষের তো বছরের পর বছর সন্তানাদি হয়না। তারা যদি ধৈর্য্য ধারণ করতে পারে তাহলে আমরা কেন হতাশ হচ্ছি? চোখের সামনে নিজের বন্ধু বান্ধব, অফিস কলিগ, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীদের নিঃসন্তান থাকার উদাহরণ ছিল শান্তনা পাবার জন্য। কিন্তু এমন উদাহরণ আমাদের মনে শান্তনার বদলে কষ্টই দিত শুধু। তখন কষ্টটা দ্বিগুন হয়ে যেত; তাদের এবং নিজেদের কথা ভেবে। আমরা কখনোই নিঃসন্তান দম্পতি হওয়ার উদাহরণ হতে চাইতাম না।
.
যখনই কষ্ট পেতাম কান্না চলে আসতো। আমি সেভাবে প্র্যাক্টিসিং মুসলিম না হলেও আমি জানতাম আল্লাহর কাছে দোয়া করা, সাদাকাহ করা আর এস্তেগফারের ক্ষমতা। নিজের ও স্ত্রীর অতীতের সমস্ত গুনাহ খাতার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলা'মীনের কাছে বারবার ক্ষমা চাইতাম এবং বিনিময়ে একটি সন্তানের জন্য দোয়া করতাম। সাধ্যমত সাদাকাহ করতাম নিজের এবং পৃথিবীর তাবৎ নিঃসন্তান দম্পতির জন্য।
.
এভাবে বেশ কিছুদিন চললো। একদিন অফিসের এক কলিগ আপুর সামনে মন খারাপ করে বসে আছি। তিনি যথেষ্ট প্র্যাক্টিসিং একজন মুসলিমাহ। অফিসে জয়েন করার পর আজ অব্দি ওনার মুখ দেখিনি কারণ তিনি পর্দা করেন। সেই আপু আমাকে বললেন, "কি ব্যাপার মামুন ভাই, মন খারাপ নাকি কোনো কারণে?" আমি কিছু না বলে শুধু মাথা দোলালাম। তিনি বললেন, "বড় আপু হিসেবে আমাকে শেয়ার করতে পারেন"।
.
আমার একটা অভ্যাস আছে যখনই খারাপ লাগে কাউকে বলে ফেলতে পারলে খুব হালকা লাগে ভিতরে। আমি সেই আপুর কাছে নিজের মনের ব্যাথা সবিস্তারে প্রকাশ করার পর তিনিও বললেন, "ভাই আমিও তো ভুক্তভোগী, বিয়ের ৩ বছর হয়ে গেলেও সন্তানের মুখ এখনো দেখতে পারলাম না"
.
আপু শান্তনা দিতে গিয়ে যেন নিজেই ভেঙ্গে পরলেন। তবে হ্যাঁ খুব সুন্দর একটি দোয়া আমাকে শিখিয়ে দিলেন আমাকে যেই দোয়ার বরকতে হযরত যাকারিয়্যাহ (আঃ) বৃদ্ধবস্থায় সন্তান লাভ করেছিলেন। দোয়াটি ছিল এমন- رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء. অর্থাৎ ‘হে আমার প্রভু! আমাকে তুমি তোমার কাছ থেকে পবিত্র বংশধর, সৎ সন্তান দান কর। তুমিই প্রার্থনা শ্রবণকারী, কবুলকারী।’
.
এই দোয়ার প্রেক্ষাপট এবং উপকারিতা জানার পর থেকে মনে অনেক বেশী আশার সঞ্চার হলো। নিয়মিত এই দোয়ার চর্চা শুরু করলাম। বিশেষ করে নামাজের রুকু, সেজদাহ, শেষ বৈঠক; এমন কোনো জায়গা নেই যে এই দোয়াটা পড়া থেকে বিরত থাকতাম। স্ত্রীকেও এই দোয়া শিখিয়ে দিয়েছিলাম বারংবার দোয়াটা পড়ার জন্য।
.
এই দোয়ার পাশাপাশি নিজেদের চেষ্টার অংশ হিসেবে একজন গাইনী স্পেশালিস্টের কাছে স্ত্রীর ট্রিটমেন্ট শুরু করিয়েছিলাম। সময়টা ছিল দু'হাজার বাইশ সালের মে মাস। মানে আমি যখন এই লিখাটা লিখছি তখন থেকে ঠিক এক বছর আগের ঘটনা। আমি আজও সেই কষ্টে ভরা দিনগুলোকে স্মরণ করি।
.
অবশেষে মহান রব, আমার প্রিয় মালিক আমাদের ডাকে সাড়া দিলেন। সময়টা ছিল ২৩ শে জুন, ২০২২। আগের দিন রাতে আমার স্ত্রী আমাকে এক প্রকার আশার বাণী শুনিয়েই বললো, "এই আমার না মনে হচ্ছে এবার বুঝি আমি কন্সিভ করে ফেলেছি" কিছুক্ষণ বাদে আবারও বললো, "যাও একটা প্রেগ্ন্যান্সি টেস্ট কিট নিয়ে আসো"
.
এর আগেও ৩-৪ বার মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছি বিধায় প্রেগ্ন্যান্সি কিট আনার জন্য মন সায় দিচ্ছিল না কিন্তু আমার বউ এর অতিরিক্ত কনফিডেন্সের কারণে এক প্রকার বাধ্য হয়েই বাইরে গেলাম প্রেগ্ন্যান্সি টেস্টিং কিট আনতে। তবে সঙ্গে সঙ্গেই নিয়্যাত করলাম আজ যেভাবেই হোক দু'জনে তাহাজ্জুদ পড়ে দোয়া করে তারপর ফজরের আগে টেস্ট করিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করব।
.
এমনটা পরিকল্পনা করে রাতে দু'জন নামাজে দাঁড়িয়ে গেলাম খুব করে দোয়া কান্নাকাটি করলাম যেন মহান আল্লাহ এবার আমাদের চার খানা হাত খালি ফিরিয়ে না দেন।
.
সারারাত উত্তেজনায় সেভাবে ঘুম হলোনা। ফজরের ঠিক আগ মুহুর্তে দুরু দুরু বুকে টেস্টিং শুরু করলাম। টেস্টিং কিটে একটা দাগ উঠে গেল। দ্বিতীয় দাগ তখনও উঠেনি। টেস্টিং কিট হাতে থাকা অবস্থায় দেখছিলাম হাত কাঁপছে, চোখে ঝাপসা দেখছি। আমার স্ত্রীর কি অবস্থা হচ্ছে সেটাও বুঝতেছিনা। কারণ, আমার দুই চোখ আটকে আছে সেই টেস্টিং কিটে। মনে হচ্ছিল কয়েক যুগ পেরিয়ে গিয়েছে।
.
ঠিক কত সময় পেরিয়ে গিয়েছিল জানিনা। তবে মহান আল্লাহ এবার আর নিরাশ করলেন না। জগতের সমস্ত সুখ একত্রিত করে যেন তিনি এবার আমাদের দু'জনকে সুখী করলেন। হ্যাঁ টেস্টিং কিটে সেবার দ্বিতীয় দাগ চলে এসেছিল। আনন্দে চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পরলো, স্ত্রীকে আলিঙ্গণ করলাম। তারপর সেই ক্বাবার রবের প্রতি সেজদায় লুটিয়ে পরলাম।
.
জীবনে আল্লাহ রাব্বুল আলা'মীন অনেক পরীক্ষা নিয়েছেন আমার। কখনো পাশ করেছি, কখনো করিনি আরও ভাল কিছু পাব বলে। কিন্তু এবারের পরীক্ষাটা ছিল অন্যরকম। অনেক বেশী ভয় ও হতাশার মিশেলে দশটি মাস খুব একটা ভাল কাটেনি আমাদের। কিন্তু আমাদের ও ময় মুরুব্বিদের দোয়ায় আল্লাহ পরম আকাঙ্ক্ষিত সন্তান আমাদের দিয়ে দিলেন। আলহামদুলিল্লাহ! আমার স্ত্রী কন্সিভ করেই ফেললো অবশেষে।
.
আর আমার মনে হয় আল্লাহ আমাদের দোয়া কান্নাকাটিতে এত্ত বেশী খুশী হয়েছিলেন যে আমাদের প্রথম সন্তান হিসেবে কন্যা সন্তান দান করেছেন। ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।
.
২০২২ সালের, ১৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে আমাদের কোল আলোকিত করে পৃথিবীর বুকে জন্ম নিলো আমাদের প্রথম সন্তান "মিন্নাত"।
.
লিখা শেষে আমার সেই কলিগ আপুটির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলেই নয়। কারণ, উনি একইরকম বরং আমাদের চেয়েও বেশী খারাপ অবস্থায় থাকার পরও আমাদের জন্য দোয়া করেছিলেন এবং সন্তান হওয়ার দোয়া শিখিয়ে দিয়েছিলেন। মহান আল্লাহর কৃপায় সেই আপুও একটি ছেলে সন্তানের মা হয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
.
পরিশেষে, সবার জন্যই বলি আল্লাহর রহমত থেকে কখনোই নিরাশ হওয়া যাবেনা। বান্দা যেখানে শেষ দেখে ফেলে আল্লাহ ঠিক সেখান থেকেই শুরু করার ক্ষমতা রাখেন। শুধু সন্তান নয় আমাদের জীবনের প্রতিটি ব্যাপারের ফয়সালা হোক আল্লাহর কাছে দোয়া করার দ্বারা। দোয়া বান্দার ত্বকদীরকে ম্যাজিকের মত পরিবর্তন করে দেয়। যা অন্য কোনো কিছুর দ্বারাই সম্ভব নয়।
.
জগতের প্রতিটি দম্পতি বাবা-মা হওয়ার স্বাদ পাক। কারও কোল যেন আল্লাহ খালি না রাখেন এই প্রার্থনা করেই আজকের মত আমি বিদায় নিচ্ছি।
.
#mamuninsight #গল্পটা_আমাদের #দুয়া_কবুলের_গল্প
.jpg)
.jpg)
0 Comments